এয়োদশ শতাব্দির প্রথম দিকে বিখ্যাত সূফি সাধক হযরত শেখ শাহ ফরিদ এখানে অবস্থান করেন। তাঁর নামানুসারে ১৮৯৪ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কোতয়ালী থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। অতপর ১৯৮৪ সালের ১ ডিসেম্বর তারিখে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ফরিদপুর সদর উপজেলা নামে নামকরণ করা হয়।
এ উপজেলার অভ্যন্তরে কুমার নদী, ভূবেনশ্বর নদী ও পদ্মা নদী প্রবাহিত রয়েছে। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রারম্ভিক পর্যায়ে ফরিদপুর শহরের উৎপত্তি হয় বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। মোঘল শাসনের সূত্রপাত ঘটে ১৬৬৬ খ্রি:। চকবাজার তখন শহরের ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই চকবাজার শব্দটিও মোঘল সূত্রে প্রাপ্ত। ধর্মীয় উদ্দেশ্যে গোয়ালচামট, খাবাসপুর, অম্বিকাপুর হিন্দু আশ্রম, মঠ, মন্দির গড়ে উঠে। নিলটুলী সড়ক তৎকালীন উন্নয়নের নির্দেশক। ১৭৬০ খ্রি: ফরিদপুর ব্রিটিশ শাসকের ছোঁয়া লাগে। ১৮০০ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং উনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে শহরে গড়ে উঠতে থাকে ইট-পাথরের ভবনাদি, পাশ্চাত্য নক্সার বাংলোসমূহ।
১৮৮৯ হতে ১৯৪৭ পর্যন্ত ৭৮ বছর ব্রিটিশ সময়কাল, ১৯৪৮ হতে ১৯৭১ পর্যন্ত ২৩ বছর পাকিস্তান সময়কাল, ১৯৭১ হতে ২০১৯ পর্যন্ত ৪৮ বছর বাংলাদেশ সময়কাল হিসেবে ভাগ করলে দেখা যায়, ফরিদপুর শহরের নগর উন্নয়ন হয়েছে কখনও শম্বুক গতিতে, কখনও কিছুটা ত্বরিত গতিতে, আবার কখনও নানা কারণে এর উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।
আয়তন: ৪০৭.০২ বর্গ কিমি।
অবস্থান: ২৩°২৯´ থেকে ২৩°৩৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৩´ থেকে ৮৯°৫৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
সীমানা: উত্তরে গোয়ালন্দ ও হরিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে নগরকান্দা উপজেলা, পূর্বে চরভদ্রাসন ও হরিরামপুর উপজেলা, পশ্চিমে বোয়ালমারী, মধুখালী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলা। উপজেলা শহর কুমার নদীর তীরে অবস্থিত।
জনসংখ্যা ৪১৩৪৮৫; পুরুষ ২১৩৭৬৫, মহিলা ১৯৯৭২০, মুসলিম ৩৬৭৮২৯, হিন্দু ৪৪৬১৫, বৌদ্ধ ৯৬৭, খ্রিস্টান ৩১ এবং অন্যান্য ৪৩।
জলাশয়: প্রধান নদী: পদ্মা, কুমার, পুরাতন কুমার, ভুবনেশ্বর; চাপা বিল, হারি বিল, ঢোল সমুদ্র, বিলমামুনপুরের কোল, শকুনের বিল এবং টেপা খোলার হ্রদ (কৃত্রিম) উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন: ফরিদপুর সদর থানা গঠিত হয় ১৮৯৬ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস